Home এক নজরে ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াড: আজারবাইজ়ানের বিশ্বজয়, সঙ্গে থাইল্যান্ডের রৌপ্য এবং ভারতের ব্রোঞ্জ ট্রফি

ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াড: আজারবাইজ়ানের বিশ্বজয়, সঙ্গে থাইল্যান্ডের রৌপ্য এবং ভারতের ব্রোঞ্জ ট্রফি

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক হসপিটালিটি কাউন্সিল (আইএইচসি) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট (আইআইএইচএম)-এর সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান আইআইএইচএম ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াড (ওয়াইসিও)। কয়েক বছর ধরে চলা এই অনুষ্ঠানটি এ বার পা রাখল ৯ বছরে। এর আগের দুটো বছর অতিমারির সময় এটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর আবার পুরনো ফর্মে ফিরল ওয়াইসিও।
ভারতে আইআইএইচএম-এর ক্যাম্পাস রয়েছে দিল্লি, হায়দরাবাদ, গোয়া, বেঙ্গালুরু, পুণে এবং কলকাতায়। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে প্রতিটি ক্যাম্পাসেই ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। এ বছর ২৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, এই ৭দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওয়াইসিও। অন্যান্য বারের তুলনায় এ বারের অনুষ্ঠানটি ছিল সব দিক থেকেই একটু রাজকীয়। এ বার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক এব‌ং ভারতের দশটি অঙ্গরাজ্যের রাজ্যসরকার।
এ বছর ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিল প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি দেশ। তালিকায় ছিল অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, ইজিপ্ট, লুক্সেমবুর্গ, মাদাগাস্কার, আজ়ারবাইজান, তানজ়ানিয়ার মতো নতুন কিছু দেশও।
২০২৩ সালে এই ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইএইচসি (ইউকে) এবং আইআইএইচএম-এর যৌথ উদ্যোগে। ৭ দিনের এই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাটি আটাশ সদস্যের গ্র্যান্ড জুরিরা তত্ত্বাবধান করেছেন। এই বিচারকদের প্রত্যেকেই কোনও না কোনও ভাবে রন্ধন কিংবা আতিথেয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত।
পদ্মশ্রী প্রাপ্ত শেফ সঞ্জীব কপূর ছিলেন ভারতে ওয়াইসিও-র প্রধান উপদেষ্টা। বিশ্বের খ্যাতনামা অন্য দু’জন শেফ অ্যান্ড্রেস মুলার এবং জন উড ছিলেন সহ-প্রধান বিচারক। প্রফেসর ডেভিড ফসকেট ছিলেন ওয়াইসিও গ্র্যান্ড জুরির চেয়ারম্যান, পল জারভিস ছিলেন প্রধান বিচারক এবং রিসার্চ চেয়ারের দায়িত্বে ছিলেন পিটার জোনস। গ্র্যান্ড জুরির মধ্যে ছিলেন বিখ্যাত সেলেব্রিটি শেফ রণবীর ব্রার, সিঙ্গাপুরের মিশেলিন স্টার শেফ মঞ্জুনাথ মুরাল, দ্য ডোরচেস্টার কালেকশনের এগজ়িকিউটিভ শেফ মারিও পেরেরা, স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল শেফ গ্যারি ম্যাকলেন এবং চকলেট এবং প্যাটিসের দুনিয়ার বিখ্যাত শেফ সারা হারনেট প্রমুখ।
পর্যটন এবং হসপিটালিটি সংক্রান্ত আইআইএইচএম-ওয়াইসিওর একটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেনবেল কংগ্রেস ছিল ২৯ জানুয়ারি প্রতিযোগিতাটির উদ্বোধনের একটি অংশ। প্রতিযোগীদের অন্তর্বতী রাউন্ডগুলো দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুণে, হায়দরাবাদ কিংবা গোয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর এক টানা পর্বগুলো অনুষ্ঠিত হয় কলকাতায়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের দিন ওয়াইসিও গ্লোবাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. সুবর্ণ বসু বলেন, “অতিমারির পরে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ রন্ধনসম্পর্কিত অলিম্পিয়াড এটি। এই বছরের থিমটি জাতিসংঘের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যা ভারতের জি ২০ প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এর পাশাপাশি হসপিটালিটির ক্ষেত্রে সাসটেনাবিলিটির গুরুত্বও বোঝাবে তরুণ শেফদের।”
এর পাশাপাশি ওয়াইসিও ২০২৩ আমাদের প্রাকৃতিক শস্যের দিকটিকেও তুলে ধরেছে। যেমন বাজরা। এমনিতেই ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ওয়াইসিওর আর-একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড অফ ইয়াং শেফস ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধেবেলায় আইআইএইচএম-এর সল্টলেক ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এটি প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান নয়। ‘বসুধৈবকুটুম্বকম্’ অর্থাৎ পৃথিবী মানে একটা পরিবার, এই থিমটি এর মূল ভাব। অভিনব এই অনুষ্ঠানে তিপ্পান্নটি দেশের উঠতি শেফেরা তাঁদের দেশের জাতীয় খাবার প্রস্তুত করেছিলেন সেই সন্ধের অতিথিদের জন্য। এঁদের প্রত্যেকেরই পরনে ছিল নিজের দেশের জাতীয় পোশাক। সেইদিন সন্ধেয় কলকাতার অনেক অতিথিদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল বুফে থেকে এই নানা দেশের নানা জাতীয় পদ খেয়ে দেখার। জর্ডানের আহমাদ বেন হিশাম জোমা তাহের বানিয়েছিলেন মুসাখান রোল, সাউথ আফ্রিকার আমি ক্রিস্টিনা ফক্স মার্টিন বানিয়েছিলেন ল্যাম ও টমেটো ব্রেডি। সুইৎজ়ারল্যান্ডের কালিনা ইয়োরদোনোভা বানিয়েছিলেন জিভে জল আনা সুইস ফন্ডু। এ ছাড়াও আরও অনেক জিভে জল আনা খাবারও কিন্তু ছিল। যেমন সিঙ্গাপুর চিকেন রাইস, বাংলাদেশের নকশি পিঠে, ভারতের ভেটকি পাতুরি আরও কত কী!
ড. সুবর্ণ বসু বলেছেন, “এটা অত্যন্ত আনন্দের যে পৃথিবীর নানা প্রান্তের উঠতি শেফেরা এক ছাদের তলায় এসে তাঁদের দেশীয় রান্নার ঐতিহ্যকে আমাদের সামনে তুলে ধরছেন।”

ওয়াইসিও সম্পর্কে সেলেব্রিটি শেফ রণবীর ব্রার বলেছেন, “এটা একটা অসাধারণ উদ্যোগ। কিন্তু এটাকে শুধু অসাধারণ উদ্যোগ বললেও কম বলা হবে। বলা যেতে পারে এটা এক ধরনের সেলিব্রেশন। সারা পৃথিবীর খাবারের একটা অন্য রকম সেলিব্রেশন। পাশাপাশি এটা তারুণ্যেরও উদ্‌যাপন বলে আমি মনে করি।”
সুবর্ণ বসুর মনে করেন, এই ওয়াইসিও আসলে হার-জিতের ব্যাপার না। এর মধ্যে রয়েছে আলাদা রকমের বন্ডিং। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে যোগ তৈরি করে এই অনুষ্ঠান।

ফাইনালের আগের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি আইআইএইচএমের গ্লোবাল ক্যাম্পাসে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হন। তাতে অংশ নিয়েছিলেন দশ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগী। তাঁরা আজ়ারবাইজান, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ভারত, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, নিউ জ়িল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ইউএসএ দেশের।

এক সপ্তাহ ধরে চলা এই বিরাট অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছিল সল্টলেকের নিক্কো পার্ক কমপ্লেক্সের ওয়েট-ও-ওয়াইল্ডে। শেষে তিন জন প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা করা হয়। তার মধ্যে ভারতের নাউরিন শেখ পেয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক এবং ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা। থাইল্যান্ডের পাটিফোন লেটসুরাকিট্টি পেলেন রৌপ্য পদক এবং ভারতীয় মুদ্রায় দুই লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার টাকা। আজারবাইজ়ানের এমিল জ়েনলালজ়েদ পেলেন প্রথম পুরস্কার। সোনালি ট্রফিটার সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রায় পেলেন চার লক্ষ বারো হাজার টাকা। আজ়ারবাইজানের ভারতীয় অ্যাম্বাসাডর ড. আশরফ শিখালিয়েভ উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানের শেষ দিনে।

2 COMMENTS

  1. I think what yoou pubhlished made a ton off sense.
    However, consider this, hat if you adde a litgtle content? I mean, I don’t
    wiksh too tell you hhow to runn your website,
    but sppose yoou added a tittle thaat mskes pepple desire more?
    I meean ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াড:
    আজারবাইজ়ানের বিশ্বজয়, সঙ্গে থাইল্যান্ডের রৌপ্য এবং ভারতের ব্রোঞ্জ ট্রফি –
    Bong Wiire is a little plain. Youu should peekk aat Yahoo’s front pagge annd
    seee how they wrife article titles to grab peolple interested.
    You might add a relaterd videoo oor a pictture orr two tto gra people iinterested aabout everything’ve got too say.
    Just my opinion, it would make your posts a little livelier.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version