বিশেষভাবে সক্ষম, অসুস্থ ও বয়স্ক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অ্যাম্বুলিফট পরিষেবা চালু করল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে নামমাত্র খরচে বিশেষভাবে সক্ষম, রোগী বা অসুস্থ বিমানযাত্রীরা সহজেই বিমানে উঠতে পারবেন ওই পরিষেবা ব্যবহার করে । শনিবার থেকে চালু হয়েছে এই পরিষেবা । যা নিয়ে খুশি যাত্রীরা । এর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটি বিমানবন্দরে এই পরিষেবা চালু ছিল। বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যায় যাত্রীকে চিকিৎসার জন্যে কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়। স্রেফ হুইল চেয়ার অথবা স্ট্রেচারে চাপিয়ে ঝুঁকির সঙ্গে বিমানে ওঠানামা করানো হত এত দিন, যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতেন রোগীর আত্মীয়রা। বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হত। এ বার থেকে আর সেই ঝক্কি পোহাতে হবে না। জানা গিয়েছে, এই পরিষেবার মাধ্যমে হুইল চেয়ারে কিংবা স্ট্রেচারে থাকা ওই বিমান যাত্রীদের তুলে বন্দর থেকে সরাসরি বিমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে । এরপর হাইড্রোলিক লিফটের মাধ্যমে মাটি থেকে হুইল চেয়ার সহকারে বিমানের দরজার সঙ্গে ওই অ্য়াম্বুলিফ্ট জুড়ে যাবে । ফলে এমন সহজেই যাত্রীদের বিমানে তোলা যাবে ।
এক একটি অ্যাম্বুলিফট গাড়ির দাম প্রায় 75 লক্ষ টাকা । মুম্বই থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ওই বিশেষ গাড়িটিকে । তবে আপাতত যাত্রীদের এই পরিষেবা পেতে হলে সামান্য টাকাই খরচ করতে হবে ।
এদিকে সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গের এই বিমানবন্দরে যাত্রীর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বিমানবন্দরটিকে সম্প্রসারণের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চলছিল। এবার সেটাও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। একেবারে ঢেলে সাজানোর উদ্য়োগ বাগডোগরা বিমানবন্দরকে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের উদ্যোগে বাগডোগরা বিমানবন্দরের জন্য কার্যত মাস্টার প্ল্যান রেডি হচ্ছে এবার। সূত্রের খবর, গোটা প্রজেক্টের জন্য ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। দুটি পর্যায়ে এই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কার্যত খোলনলচে বদলে যেতে পারে নতুন এই মাস্টার প্ল্যানে। কী কী হবে এই নয়া পরিকল্পনায়? সূত্রের খবর, আগামী ৩০ বছরের কথা মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে এই মাস্টার প্ল্যান। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩৯ মাস সময় বরাদ্দ করা হচ্ছে।