পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘অতি উত্তম’ এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে ২০২৫ সালের লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে। এই ছবিতে প্রয়াত মহানায়ক উত্তম কুমারের বিভিন্ন পুরনো ছবির ফুটেজ ব্যবহার করে তাঁকে পুনরায় জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এই প্রথমবার এত দীর্ঘ আর্কাইভ্যাল ফুটেজ (২৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড) কোনও ফিচার ফিল্মে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই অভাবনীয় স্বীকৃতি প্রসঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি ছোটবেলা থেকে লিমকা বুক অফ রেকর্ডস সংগ্রহের কথা উল্লেখ করেন এবং জানান, কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি যে তাঁর তৈরি করা ছবি এই বইতে স্থান পাবে। তিনি এই কৃতিত্বের জন্য প্রযোজনা সংস্থা এবং দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তাঁর ফেসবুক পোস্টে সৃজিত আরও লেখেন, “কৈশোরে যখন আমি কুইজের প্রতি অনুরাগী ছিলাম, তখন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এবং লিমকা বুক অফ ইন্ডিয়ান রেকর্ডস দুটোই আমার হাতের কাছে থাকত। কখনও ভাবিনি যে একদিন শেষেরটিতে আমার নাম উঠবে। কিন্তু ব্যবহৃত প্রযুক্তির জন্য #অতি উত্তম তা সম্ভব করেছে। ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনস এবং যারা এই ছবিটিকে ভালোবেসেছেন ও সমর্থন করেছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন!” ‘অতি উত্তম’ ছবিতে টাইম-ট্র্যাভেলের ধারণাটিকে ফুটিয়ে তুলতে পুরনো ফুটেজের সঙ্গে বর্তমানের শ্যুটিংকে একই ফ্রেমে মেলানো হয়েছে। এর জন্য সম্পাদক ও ভিএফএক্স শিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। লিমকা বুক অফ রেকর্ডস ছবির এই টেকনিক্যাল কারিকুরি ও সৃজনশীলতার বিশেষভাবে প্রশংসা করেছে।
‘অতি উত্তম’-এর এই সাফল্যে আপ্লুত উত্তম কুমারের নাতি, অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে খুব আনন্দের খবর। বাংলা ছবির যে কোনও সাফল্যই মনকে ভালো করে দেয়।”
শুধু তাই নয়, ছবিতে বর্তমান সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও তাঁদের সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে উত্তম কুমারের স্মৃতিকে সযত্নে বহন করে নিয়ে গেছেন। ‘অতি উত্তম’-এর এই নজিরবিহীন সাফল্যে বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ গর্বিত।